বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ পূর্বের তুলনায় সর্বনিম্ন প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এজেন্সির উপর ভিত্তি করে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে সর্বনিম্ন প্রায় ৯ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আবেদন ফি প্রদান করতে হয়।
এছাড়া প্রাথমিক ভাবে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন প্রায় ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত ভিসা প্রসেসিং ফি প্রদান করতে হয়।
তবে এজেন্সির উপর ভিত্তি করে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ফি সর্বোচ্চ প্রায় ২৫ হাজার টাকা এবং অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং ফি সর্বোচ্চ প্রায় ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ভিসা আবেদন ফি এবং ভিসা প্রসেসিং ফি এর উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ভিত্তি করে স্টুডেন্ট ভিসা কম বেশি হতে পারে।
বর্তমানে বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সির সাহায্যে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
তবে এজেন্সিতে পরিচিত লোক থাকলে সর্বনিম্ন প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ২ লাখ টাকায় অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করা যায়।
অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করা যায়। অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অফার লেটার থাকতে হবে।
এক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। উক্ত ভিসা আবেদন ফরম এবং প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র অস্ট্রেলিয়া সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে
ভিসা আবেদন পত্রের সাথে জমাকৃত কাগজপত্র সঠিক থাকলে ১৫ দিন থেকে ২৫ দিনের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করা যায়। তবে কাগজপত্র ভুল থাকলে ভিসা তৈরিতে সর্বোচ্চ প্রায় ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ-
- প্রথমত ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদী বাংলাদেশি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অফার লেটার থাকতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে।
- পূর্ববর্তী শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও মার্কশিট থাকতে হবে।
- ঠিক সক্ষমতার প্রমাণ অর্থাৎ শিক্ষা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের উৎস থাকতে হবে।
- অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম এবং ভিসা আবেদন ফি পরিশোধের রশিদ থাকতে হবে।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা মেডিকেল রিপোর্ট এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে ভিসার ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৯ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। যেমন-
স্টুডেন্ট ভিসার সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
অপর দিকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
শেষ কথা
সাধারণত অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ এজেন্সির উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া স্কলারশিপ এবং সরকারি অনুমোদন থাকলে সর্বনিম্ন প্রায় ১২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কম খরচে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করা যায়। ধন্যবাদ।