গ্রিসের ভিসা কিভাবে পাবেন তা এজেন্সির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। গ্রীস ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে আবেদন ফি প্রদানের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
ভিসার ক্যাটাগরির এবং বয়সের উপর আবেদন ফি এর পরিমাণ নির্ভর করে। যেমন প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে গ্রিস ভিসা আবেদন ফি প্রায় ৯০ ইউরো। যা বাংলা টাকায় প্রায় ১২ হাজার টাকা।
অপর দিকে ৬ বছর বয়স থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ভিসা আবেদন ফি ৪০ থেকে ৪৫ ইউর। যা বাংলা টাকায় প্রায় ৫ হাজার টাকা থেকে ৫,৭০০ টাকা। তবে ৬ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে আবেদন ফি প্রদান করতে হয় না।
গ্রিসের ভিসা কিভাবে পাবেন
গ্রিসের ভিসা কিভাবে পাবেন তা ভিসা অফিসের নিয়মের উপর নির্ভর করে। অফলাইনে ভিসা অফিসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে গ্রিস ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।
এক্ষেত্রে ভিসা অফিসে কর্মরত কর্মকর্তার নিকট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে যথাযথ তথ্যের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহকারে জমা দিতে হয়।
গ্রিস ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-
- বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট (অন্তত ৬ মাসের মেয়াদি)
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজ ন্যূনতম ৪ কপি ছবি।
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
- নূন্যতম ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ভ্রমণ বীমা।
- ড্রাইভিং ভিসার ক্ষেত্রে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স। ইত্যাদি।
গ্রিস ভিসা আবেদন
অনলাইনের মাধ্যমে গ্রিস ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাড়তি কাগজপত্র জমা দিতে হয় না। এক্ষেত্রে ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হয়।
অতঃপর সকল তথ্য সঠিক ভাবে প্রদানের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদন ফি পরিশোধ করার মাধ্যমে গ্রিস ভিসা আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়।
গ্রিস ভিসার দাম কত
ভিসার ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে গ্রিস ভিসার দাম সর্বনিম্ন প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার দাম পরিবর্তিত হয়। যেমন-
- বর্তমানে গ্রিস স্টুডেন্ট ভিসার দাম নূন্যতম প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা।
- গ্রিস টুরিস্ট ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় দুই লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা।
- বর্তমানে গ্রিস ড্রাইভিং ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা।
- গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা।
গ্রিস ভিসা আপডেট
পূর্বে বাংলাদেশ থেকে গ্রিসভিসা আবেদন করা সম্ভব হতো না। ফলে গ্রিস ভিসা আবেদনের জন্য দিল্লি যেতে হতো। তবে বর্তমানে ঢাকায় একটি নতুন গ্রিস ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
গ্রিস ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে ১২ দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রিস ভিসা তৈরি করা যায়। তবে আবেদনের সময় জমাকৃত কাগজপত্র ভুল থাকলে ভিসা তৈরিতে সর্বোচ্চ প্রায় ১ মাস সময় লাগতে পারে।
গ্রীস বেতন কত
বর্তমানে গ্রীস একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ন্যূনতম প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ মাসিক বেতন নূন্যতম প্রায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে গ্রিস একজন দক্ষ শ্রমিকের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন নূন্যতম প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ মাসিক বেতন নূন্যতম প্রায় ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এছাড়া গ্রীস চাহিদা সম্পন্ন কাজের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ন্যূনতম প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ মাসিক বেতন ন্যূনতম প্রায় ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে গ্রিস শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন কাজের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মাসিক বেতন নূন্যতম প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ বেতন ন্যূনতম প্রায় ১ লাখ ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ থেকে গ্রীস যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
এছাড়া সরকারি ভাবে কম খরচে গ্রিস যাওয়া যায়। বর্তমানে সরকারিভাবে গ্রীস যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
তবে ভিসার ক্যাটাগরি এবং বিমানের টিকেটের ধরনের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যেতে সর্বোচ্চ প্রায় ১১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
শেষ কথা
গ্রিসের ভিসা কিভাবে পাবেন তা ভিসা আবেদনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। গ্রীস ভিসা পাওয়ার জন্য পূর্বে ১৫ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে দিল্লি যেতে হতো। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে খুব সহজে গ্রীস ভিসা তৈরি করা যায়। গ্রিস ভিসা তৈরীর ক্ষেত্রে অসাধু দালাল থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ধন্যবাদ।