বর্তমানে বেসরকারি এজেন্সির সাহায্যে আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে সর্বনিম্ন প্রায় ৭ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত ভিসা প্রসেসিং ফি প্রদান করতে হয়।
এছাড়া বেসরকারি এজেন্সির সাহায্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে সর্বনিম্ন প্রায় ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত ভিসা আবেদন ফি প্রদান করতে হয়।
অপর দিকে বেসরকারি এজেন্সির সাহায্যে আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সর্বনিম্ন প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
বর্তমানে বেসরকারি এজেন্সির সাহায্যে আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
তবে এজেন্সিতে পরিচিত লোক থাকলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ১২ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কম খরচ হয়।
এছাড়া সরকারি ভাবে কম খরচে আয়ারল্যান্ড ভিসা তৈরি করা যায়। বর্তমানে সরকারি ভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
অনলাইনের মাধ্যমে আয়ারল্যান্ড সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করার মাধ্যমে আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করা যায়।
অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পূরণকৃত আবেদন ফরম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র সহকারে ভিসা অফিসে জমা দিয়ে আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়।
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
- বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট ( পাসপোর্ট এর মেয়াদ নূন্যতম ৬ মাস থাকতে হবে)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা মেডিকেল রিপোর্ট।
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এবং অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম।
- ভিসা আবেদন ফি পরিশোধের রশিদ। ইত্যাদি।
আয়ারল্যান্ড বেতন কত
বর্তমানে আয়ারল্যান্ড একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন নূন্যতম প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ মাসিক বেতন ন্যূনতম প্রায় ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে দক্ষতা সম্পন্ন শ্রমিকদের বেতন বেশি হয়ে থাকে। আয়ারল্যান্ড একজন দক্ষতা সম্পন্ন শ্রমিক প্রতিমাসে সর্বনিম্ন প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকে।
এছাড়া আয়ারল্যান্ড ওভারটাইম করার সুযোগ থাকায় একজন শ্রমিক প্রতিমাসে সর্বনিম্ন প্রায় ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৯ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
এছাড়া বিভিন্ন এজেন্সির সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ১০ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
তবে সরকারি ভাবে বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় নয় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
শেষ কথা
বর্তমানে এজেন্সির উপর ভিত্তি করে আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে ভিসা প্রসেসিং ফি বাবদ সর্বোচ্চ প্রায় ১৫ হাজার টাকা এবং আবেদন ফি বাবদ সর্বোচ্চ প্রায় ৩৫ হাজার টাকা ও কাগজপত্র তৈরি করতে সর্বোচ্চ প্রায় ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভিসা তৈরীর সম্পূর্ণ খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। ধন্যবাদ।